মামলার মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরই রহস্য উন্মোচন হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামি জানান, এক জোড়া কানের দুলের জন্যই বৃদ্ধ জমেলা বিবিরকে গলা টিপে হত্যা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিট্ন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক জাহিদ হাসানের আদালতে মৃধাপাড়ার এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আসামি সেন্টু মৃধাকে (২৫) হাজির করা হয়।
পরে আসামি সেন্টু আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি রেকর্ডের পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালায় মৃধাপাড়াসহ বিভিন্ন জুয়েলারির দোকানে। পরে সন্দেহজনকভাবে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে আসামি সেন্টুকে আটক করা হয়।
এ সময় সেন্টু ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে শিকার করে। পরে সেন্টুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই বাখরাবাদ এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে পিন্টু জুয়েলার্সের মালিক সুমনকে আটক করা হয়। পরে সুমনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নিহত জমেলার কানের এক জোড়া দুল।
ওসি মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, সেন্টু ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে শিকার করেছে তিনি নিজেই বৃদ্ধাকে হত্যা করেছেন। ঘটনার রাতে সেন্টু প্রাচীর টপকিয়ে বৃদ্ধার বাড়িতে ঢুকে। পরে সেন্টু ঘুমন্ত জমেলার কাছ থেকে চাবি নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় বৃদ্ধা ঘুম থেকে জেগে উঠলে সেন্টু বৃদ্ধার বুকের উপর চেপে বসে এবং বাম হাত দিয়ে বৃদ্ধার গলা টিপে হত্যার করেন। পরে তার কানের এক জোড়া দুল টান দিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর সকালে সেন্টু বাখরাবাদ এলাকার পিন্টু জুয়েলার্সের মালিক সুমনের দোকানে গিয়ে মাত্র চার হাজার টাকায় ওই দুল জোড়া বিক্রি করেন।
এর আগে গত বুধবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় কাপাশিয়া মৃধাপাড়া এলাকার মৃত এমাজ আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা জমেলা বিবিকে (৮০) গলা টিপে হত্যা করা হয়। ৯ মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকতেন জমেলা।
ঘুমাতেন বাড়ির উঠোনের একটি চৌকিতে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই চৌকির ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঘটনার দিনই নিহতের মেয়ে জামাই আয়নাল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৭
এসএস/এএটি/
