ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্বামী ও তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ডের আবেদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭
স্বামী ও তার প্রেমিকার বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ডের আবেদন পুলিশের হাতে আটক অভিযুক্তা ফেরদৌসি; ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীতে গৃহবধূ রেখা বেগমের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৮ সেপ্টম্বর) দুপুরে গৃহবধূর বড় ভাই নওশাদ আলী বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় রেখার স্বামী কামরুল ইসলাম ও তার প্রেমিকা ফেরদৌসি খাতুনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে কামরুল পলাতক রয়েছে।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, গৃহবধূ রেখো বেগমের ভাই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টম্বর) রাতেই থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিল। শুক্রবার দুপুরে ওই অভিযোগটি মামলার এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। স্পর্শকাতর হওয়ায় পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সেলিম বাদশাকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে, থানার পুলিশ পরিদর্শক সেলিম বাদশা জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে পুলিশ রেখার স্বামী কামরুল ইসলামকে খুঁজছে। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে আটক ফেরদৌসিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদনও করা হয়েছে। আগামী রোববার  (১০ সেপ্টেম্বর) এর শুনানি হতে পারে।

জানতে চাইলে সেলিম বাদশা বলেন, মামলা দায়েরের আগে সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ রেখা বেগমের লিখিত জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফেরদৌসি জানিয়েছে তিনি রেখার শরীরে আগুন দেননি। এজন্য তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। তাই তার বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

এদিকে, রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রেখা বেগম বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জ লড়ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরবর্তিত এবং আশঙ্কাজনক।

রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আফরোজা নাজনিন জানান, সাধারণত ৩০ শতাংশ দগ্ধ হলেই মানুষ বাঁচে না। এ নারী ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। তবে শরীরের পেছন থেকে আগুন লাগায় ওই নারীর বুক ও মুখমণ্ডল রক্ষা পেয়েছে। আর এ কারণেই তিনি এখনও বেঁচে আছেন। ৭২ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাচ্ছেনা। তার চিকিৎসা চলছে। পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নিতে পারেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়া এলাকায় রেখার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান এক নারী।

এরপর রেখাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুধু এ ফেরদৌসির নামই বলেন রেখা। তার কথার ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে ফেরদৌসি খাতুনকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। ফেরদৌসি তার বাল্যকালের বান্ধবী। এরই সুবাদে তার স্বামী কামরুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ফেরদৌসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।