ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অগ্নিদগ্ধ রেখার অবস্থা অপরিবর্তিত, স্বামী গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৭
অগ্নিদগ্ধ রেখার অবস্থা অপরিবর্তিত, স্বামী গ্রেফতার অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ রেখা/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: স্বামীর পরকীয়া প্রেমের জের ধরে বান্ধবীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ রেখা বেগমের শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন ৭২ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত তার সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছেনা।

এ অবস্থায় শনিবার (০৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী কামরুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সেলিম বাদশা বাংলানিউজকে বলেন, বোয়ালিয়া এলাকা থেকেই দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হলে এ মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

এছাড়া ফেরদৌসি খাতুনের রিমান্ড শুনানির কথা জানতে চাইলে সেলিম বাদশা বলেন, রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) আদালতে রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজন আইনজীবী মারা যাওয়ায় আগামীকাল ফুল কোর্ট রেফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। যে কারণে আদালত বসবে না। তবে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পরদিন সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ শুনানি হতে পারে বলে জানান সেলিম বাদশা।

তবে রেখা বেগমের ভাই ও মামলার বাদী নওশাদ আলী জানিয়েছেন, কামরুল ইসলাম ঘটনার দিন থেকে পালিয়ে থাকার পর শনিবার দুপুরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি এ খবর জানতে পেরেছেন বলেও জানান।

এদিকে, রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আফরোজা নাজনিন জানান, পেট্রোলের আগুনে গৃহবধূ রেখা বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শরীরের পেছন থেকে আগুন লাগায় ওই নারীর বুক ও মুখমণ্ডল রক্ষা পেয়েছে। আর এ কারণেই তিনি এখনও বেঁচে আছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর দরগাপাড়া এলাকায় রেখার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান এক নারী। এরপর রেখাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখা এ ঘটনার জন্য বাল্যকালের বান্ধবী ফেরদৌসি খাতুনকে (৩৫) দায়ী করে তার নাম বলেন।

তার কথার ভিত্তিতে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ফেরদৌসি খাতুনকে আটক করে। তিনি কশাইপাড়া এলাকার আলম হোসেনের মেয়ে।

রেখার বাল্যকালের বান্ধবী হওয়ার সুবাদে তার স্বামী কামরুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ফেরদৌসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।