এ অবস্থায় শনিবার (০৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী কামরুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সেলিম বাদশা বাংলানিউজকে বলেন, বোয়ালিয়া এলাকা থেকেই দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হলে এ মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এছাড়া ফেরদৌসি খাতুনের রিমান্ড শুনানির কথা জানতে চাইলে সেলিম বাদশা বলেন, রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) আদালতে রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজন আইনজীবী মারা যাওয়ায় আগামীকাল ফুল কোর্ট রেফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। যে কারণে আদালত বসবে না। তবে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। পরদিন সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ শুনানি হতে পারে বলে জানান সেলিম বাদশা।
তবে রেখা বেগমের ভাই ও মামলার বাদী নওশাদ আলী জানিয়েছেন, কামরুল ইসলাম ঘটনার দিন থেকে পালিয়ে থাকার পর শনিবার দুপুরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি এ খবর জানতে পেরেছেন বলেও জানান।
এদিকে, রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক আফরোজা নাজনিন জানান, পেট্রোলের আগুনে গৃহবধূ রেখা বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। শরীরের পেছন থেকে আগুন লাগায় ওই নারীর বুক ও মুখমণ্ডল রক্ষা পেয়েছে। আর এ কারণেই তিনি এখনও বেঁচে আছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর দরগাপাড়া এলাকায় রেখার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান এক নারী। এরপর রেখাকে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেখা এ ঘটনার জন্য বাল্যকালের বান্ধবী ফেরদৌসি খাতুনকে (৩৫) দায়ী করে তার নাম বলেন।
তার কথার ভিত্তিতে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ফেরদৌসি খাতুনকে আটক করে। তিনি কশাইপাড়া এলাকার আলম হোসেনের মেয়ে।
রেখার বাল্যকালের বান্ধবী হওয়ার সুবাদে তার স্বামী কামরুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ফেরদৌসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/