ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৭
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মাননবন্ধন

রাজশাহী: বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুশিল কুমার পালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ইনস্টিটিউটের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন থেকে ফলাফল সংশোধনেরও দাবি জানানো হয়।

ইনস্টিটিউটের মেকাট্রনিক্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ জুন চতুর্থ পর্বের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সের পরীক্ষা ছিল। তারা বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী ৬৬২২ কোডের বই পড়ে পরীক্ষা দিতে যান। কিন্তু পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর তারা দেখতে পান ৬৬৪৩ কোডের বই থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীরা ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের জানান এবং পরীক্ষায় দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বোর্ডে যোগাযোগ করা হয়।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীরা যে যা পারে তাই লিখতে বলেন। খাতা দেখার সময় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেখা হবে। এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়।  

গত ১ অক্টোবর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্সের ১শ’ ২০ জন শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মেকাট্রনিক্স বিভাগ আছে। এই তিন ইনস্টিটিউটের ৩শ' ৫০ জনই ফেল করেছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক তারা অধ্যক্ষকে জানান। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তারা মানববন্ধনের মতো কর্মসূচিতে নেমেছেন।

তারা বলেন, কোনো ভুল না করলেও শিক্ষাবোর্ডের ভুলের খেসারত কেন তাদের দিতে হবে? এই ফলাফল যদি সংশোধন না করা হয় তবে ২১ জন শিক্ষার্থী ড্রপআউট হয়ে শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাবে। তারা দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন করা হয়েছিল। পরীক্ষার সময় তাদের আশ্বস্ত করা হলেও ফলাফলে দেখা যায় তিন পলিটেকনিকেটর সব শিক্ষার্থীই ফেল করেছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষে তারা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আশা করছেন শিক্ষার্থীদের পক্ষেই বোর্ড দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুশিল কুমার পালকে একই সঙ্গে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হয়েছে। এতে দাফতরিক কাজে চরম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।  

এ বিষয়ে কয়েকদিন আগেই ভুক্তভোগী দেশের ২শ' কলেজ প্রধান স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবরে দাখিল করেছে বলেও জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এসএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।