বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের কয়েলগাঁতী গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মোস্তাকিন একই ইউনিয়নের জগতগাঁতী গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে ও এম এ কটন মিলস'র শ্রমিক।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, সকালে কয়লগাঁতী গ্রামের একটি আম গাছে মোস্তাকিনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, নিহতের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না উল্লেখ করে নিজের প্রেমিকার উদ্দেশে লিখেছেন মরার পর যেন তাকে শেষবারের মতো দেখে যায়।
তবে নিহতের বাবা হারুন অর রশিদের অভিযোগ, একই গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের মেয়ে আমিনা খাতুনের একটি স্মার্ট ফোন হারানোর ঘটনায় তার ছেলেকে দায়ী করা হয়। এ ঘটনায় দুই দফা সালিশি বৈঠকে চুরির অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও তাকেই দায়ী করা হয় এবং মানসিকভাবে নানা চাপ সৃষ্টি করা হয়। এ কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ০১ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ