ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পিরোজপুরে ২০ দস্যুর আত্মসমর্পণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
পিরোজপুরে ২০ দস্যুর আত্মসমর্পণ পিরোজপুরে ২০ দস্যুর আত্মসমর্পণ

পিরোজপুর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়ে সুন্দরবনের দুই বাহিনীর প্রধানসহ ২০ দস্যু আত্মসমর্পণ করেছেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা।  

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৮ সূত্রে জানা গেছে, ৩১ অক্টোবর সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে অভিযান চালায় র‌্যাব।

ওই সময় মৃগামারির শ্যালাগাং পশ্চিম পাড়ের গভীর বন থেকে মানজু বাহিনীর প্রধান মানজু সরদারসহ ১১ দস্যু আত্মসমর্পণ করেন। তাদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি ১৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারিয়া নামার চরের গভীর বনে মজিদ বাহিনীর প্রধান মো. তাকবির কাগচী মজিদসহ মোট নয় দস্যু আত্মসমর্পণ করেন। তার বাহিনীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪৭৬ রাউন্ড গোলাবারুদ।

যারা আত্মসমর্পণ করলেন- মানজু বাহিনীর মো. মানজু সরদার (৪৪), জুলফিকার ইজারদার (৪৬), মো. বাচ্চু মল্লিক (৩২), মো. তৌহিদুর রহমান শেখ (৫০), মো. রেজাউল ইসলাম (২৫), মো. পলাশ খান (৩৪), মো. সুময়ানমান ফকির (২৫), মো. জামরুল শেখ (৩০), মো. মজিব ইজারাদার (৩২) ও  মো. হাওলাদার আলমগীর (৩৮), মো. হানিফ শেখ (৩২) এবং মজিদ বাহিনীর মো. তাকবির কাগচী মজিদ (৩৮), মো. হাসান বিশ্বাস (৩৯), মো. আব্দুল মজিদ (৩০), মো. ইউনুছ শেখ (২৪), মো. হাফিজুল ইসলাম (৩২), মো. আফজাল খান (৩৫), মো. এসকেন খান (৪০), মো. হাসান আলী ইজারদার (৩২)ও মো. মোসা ইজাদ্দার (৩৩)। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল ও মংলা থানায়।  
 

জমা দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-১১টি বিদেশি একনলা বন্দুক, সাতটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, পাঁচটি ২২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, ছয়টি ওয়ান শ্যুটারগান ও চারটি কাটা রাইফেল।

আত্মসমর্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।  

র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এ আউয়াল, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম শেখ, পুলিশ সুপার মো. ওয়ালিদ হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মহারাজ, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, মৎস্যজীবী আব্দুল কাইয়ূম ও মানজু বাহিনীর প্রধান মো. মানজু সরদার।   

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন রক্ষা করতে যারা অন্তরায় হবেন, তাদের ভবিষ্যৎ খুবই খারাপ হবে। যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে সরকার সহযোগিতা করবে। যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি, তাদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রধানমন্ত্রী দস্যুদের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখছেন। যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার এক লাখ টাকা, র‌্যাব ২০ হাজার টাকা এবং এক্সিম ব্যাংক ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছে। এর আগে যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে হত্যা বা ধর্ষণ মামলা নেই, তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। আজ যারা আত্মসমর্পণ করলেন তাদেরও মুক্তির ব্যবস্থা করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ করে দেয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।