বুধবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালনের সময় এ অভিযোগ করেন। ঘেরাও কর্মসূচি আয়োজন করে সোয়েটার লিমিটেড কারখানা শ্রমিকরা।
গত ৩০ অক্টোবর গাজীপুরে অবস্থিত লাকসাম সোয়েটার লিমিটেডের কারখানা বিনা নোটিশে বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ। ফলে কারখানাটির প্রায় ১১শ শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়। এছাড়া শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রেখে পালিয়ে যান মালিক।
ঘেরাও কর্মসূচি থেকে শ্রমিক নেতারা বলেন, এতো বড় একটি ঘটনা ঘটে গেলো, কিন্তু বিজিএমইএ নেতারা কিছুই জানেন না। তারা মালিকদের পক্ষ নিয়ে কাজ করেন, কিন্তু শ্রমিকদের কথা কখনো চিন্তা করে না।
ঘেরাও কর্মসূচি থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর মইন বলেন, সরকারি খাস জায়গার ওপর বিজিএমইএ শ্রমিকদের ঘাম ঝরানো টাকা দিয়ে ভবন তৈরি করেছে। কিন্তু তারা শ্রমিকদের কোনো সংগঠন করতে দেয় না। গাজীপুরের গার্মেন্টসগুলোতে শ্রমিকদের কোনো অধিকার নেই। কিন্তু বিজিএমইএ’র এ নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই।
তিনি বলেন, শ্রমমন্ত্রী কিংবা সরকারের কেউই শ্রমিকদের পাশে নেই। সবাই মিলে শ্রমিকদের শোষণ করে যাচ্ছে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কার কাছে যাবে, তাদের কে বাঁচাবে।
এ সময় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে শ্রমিকরা অবিলম্বে লাকসাম সোয়েটার লিমিটেডর কারখানা চালু করা ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করাসহ মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিএমইএ’র প্রতি দাবি জানায়।
দ্রুত তাদের দাবি-দাওয়া না মানা হলে লাগাতার ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় লাকসাম সোয়েটার লিমিটেডের শ্রমিকরা ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এমএসি/এএ