মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে কথিত লটারির ড্র চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে আটক ১০জনকে বুধবার (০১ নভেম্বর) সকালে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে থাকা যৌথবাহিনী (পুলিশ,
র্যাব ও বিজিবি) ১০ জনকে আটক করে।
পরে বুধবার সকালে আটক মারুফ আহম্মেদকে ১৮৬০ এর ৮৮ ধারায় তিনদিন কারাদণ্ড ও বাকি নয়জনকে ১৮৬০ এর ৪ ধারায় সাতদিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন অভয়নগরের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা মারুফ আহম্মেদ, হজরত আলী, ইসমাইল, হান্নান, সাব্বির, মারুফ, সোহেব, আকিজুর, জাকাত শেখ ও হানিফ।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করায় জুয়ায় বুদ হয়ে টিকিট ক্রেতা ও আয়োজকরা ক্ষিপ্ত হয়ে শত শত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের গাড়ি ও র্যাবের একটি গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে যায় এবং গাড়ি দু'টি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এরআগে, একমাসের বেশি সময় ধরে গ্রামীণ মেলার নামে অবৈধ লটারির আদলে এ জুয়া চলছিলো নওয়াপাড়ায়।
সিটি ক্যাবলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ধশত ইজিবাইকে মাইক সেট করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকিট বিক্রির উদ্দেশ্যে বের হতো চক্রটি। লোভনীয় পুরুস্কারের ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন পেশার মানুষের পাশাপাশি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও মগজ ধোলাই করে প্রতিদিন ১০ লক্ষাধিক টাকার টিকিট বিক্রি করা হতো। তবে বিলম্বে হলেও অবৈধ এ কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়ায় এলাকাবাসী খুবই খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এএটি