বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মুবিনুর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান।
এ সময় তদন্ত কমিটির প্রধান মুবিনুর রহমান বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর কলোনির ও/৮ এবং এম/১ ঘরের মালিক হোসেন আলী এবং আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সংঘটিত জাহাঙ্গীর হত্যাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলোনির লোকজন।
কলোনির সাংবিধানিক নিয়ম কেউ ভঙ্গ করলে তা তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বরাদ্দকৃত ঘর বাতিল বলে গণ্য হবে। তাই সরেজমিনে এসে বাদী এবং বিবাদী পক্ষের বক্তব্য শুনে তা রেকর্ড করে নেয়া হয়েছে। সমাজ বিরোধী অপরাধের অভিযোগ সরেজমিনে গিয়ে প্রমাণও পাওয়া গেছে। ’
তিনি জানান, দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হবে। পরে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কৃষ্টপুর সরকারি আদর্শ কলোনির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা রনি জানান, গত কয়েক বছর ধরে কলোনিতে থাকা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতা হোসেন আলী তার ছেলে রিপন, রাসেল এবং আনোয়ার হোসেনের ছেলে নাঈমের অত্যাচারে কলোনির মানুষ অতিষ্ঠ। কিছুদিন আগে তারা পরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীর নামে এক যুবককে হত্যা করে।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো কেউ ছিলনা। তাই আমরা এইসব অত্যাচার সইতে না পেরে তাদের নামে কলোনির বরাদ্দকৃত ঘর বাতিলের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘন্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এমএএএম/আরআই