বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে তাদের ময়নাতদন্ত করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, কাকরাইলে নিজ বাসায় নিহত শামসুন্নাহার করিমের শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপ রয়েছে।
আর তার ছেলে শাওনের বুকে ধারালো অস্ত্রের দু’টি আঘাত রয়েছে।
এদিকে মধ্যবাড্ডা হোসেন মার্কেটের পেছনে ময়নারবাগ এলাকায় গাড়িচালক জামিল হোসেনকে ভারী কোনো বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান ডা. সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, মাথার হাড় ভেঙে ব্রেনে আঘাতে লাগে জামিলের। এতেই তার মৃত্যু হয়। আর তার মেয়ে নুসরাতকে নাকে-মুখে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাকরাইলের একটি বাড়িতে জবাই করে হত্যা করা হয় শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯)। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গৃহকর্তা আবদুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তাকে আটক করেছে পুলিশ।
এর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই রাজধানীর মধ্যবাড্ডার ময়নারবাগে নিজ ঘরে খুন হন গাড়িচালক জামিল হোসেন ও তার ন’বছর বয়সী মেয়ে নুসরাত।
এ ঘটনায় জামিলের স্ত্রী আরজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এজেডএস/এমএ