ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ভালো কাজে পুরস্কার, মন্দে তিরস্কার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৭
ভালো কাজে পুরস্কার, মন্দে তিরস্কার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লালমনিরহাট: ভালো কাজে পুরস্কার আর মন্দে তিরস্কার-এ নীতিতেই চলছে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সামাজিক অপরাধ দমনে জেলাকে শূন্যের কোঠায় নিতে এ নীতি অবলম্বন করে চলছেন পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।

কৃতিত্বপূর্ণ কাজে উৎসাহ দিয়ে পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য থেকে শুরু করে গ্রাম পুলিশ বা সোর্সদের মধ্যেও এ নীতি অবলম্বন করছেন তিনি। পুরস্কার গ্রহণের আশায় অনেকেই কাজে নৈপুন্য দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন।

পক্ষান্তরে দায়িত্ব পালনে তিল পরিমাণ অবহেলা প্রমাণিত হলেই তাকে তিরস্কার করতেও কুণ্ঠাবোধ নেই পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হকের।

মাদক উদ্ধারে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় হাতিবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ কবির উদ্দিনকে রোববার (২২ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে উদ্দীপনা পুরস্কার দেন পুলিশ সুপার।

অপরদিকে মাদক মামলায় আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষ নেয়ার অপরাধে দুই গ্রাম পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) জেলা প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। মিথ্যা সাক্ষ্য দাতাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।

গ্রাম পুলিশই নয়, দায়িত্বে অবহেলা করায় অনেক পুলিশ সদস্যকে লাইনে ক্লোজ করা  হয়েছে। পক্ষান্তরে ভালো কাজে নৈপুন্য প্রদর্শন করায় বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকে উদ্দীপনা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। প্রতি মাসে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সদস্যদের উদ্দীপনা পুরস্কার দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, পুরস্কার বা তিরস্কার নীতি পুলিশ বাহিনীতে বাস্তবায়ন করতে বলা হলেও অনেক সময় তা হয়ে উঠে না। বর্তমান পুলিশ সুপার এটা বাস্তবায়ন করায় পুলিশে ভালো কাজে উৎসাহ বেড়েছে। অনুরূপভাবে যারা মন্দ কাজে পটু তারা এ জেলা থেকে স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন। এ নীতি চলতে থাকলে খুব শিগগিরই অপরাধ মুক্ত জেলা হিসেবে লালমনিরহাট স্বীকৃতি পাবে বলেও দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।

যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর দেশ সেরা মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে ‘গ’ গ্রুপে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) হাত থেকে ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেছেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক। এতেই শেষ নয় জেলায় যোগদানের ১৫ মাসের মধ্যে পাঁচবার রংপুর রেঞ্জের সেরা পুলিশ সুপার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তিনি।

অপর এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, পুরস্কার বা তিরস্কারই নয়, সোর্স মানি খুব কমই জোটে নিম্নপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে। কিন্তু বর্তমানে সোর্স মানির জন্য অপেক্ষাও করতে হয় না। সোর্স মানির জন্যই মাদক উদ্ধারে একটি বড় বাধা ছিল। যা এখন নেই বললেই চলে। যার কারণে প্রতি মুহূর্তে উদ্ধার হচ্ছে মাদকের চালান, ধরা পড়ছে অপরাধীরা।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বাংলানিউজকে জানান, জনগণের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব। এছাড়াও সামাজিক অপরাধ, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত লালমনিরহাট গড়তে কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি জেলাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ নভেম্বর ০৪, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।