ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সাদুল্যাপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৭
সাদুল্যাপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন সাদুল্যাপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ছয়টি পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। 

শনিবার (০৪ নভেম্বর) রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হামলার শিকার শামীম মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, হামলা ও অগ্নিসংযোগে ওই পরিবার গুলোর ঘর-বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে।

লুটপাট করা হয়েছে তাদের অর্থ- সম্পদ। পরে থানায় মামলা করায় ওই পরিবার গুলোকে এলাকা ছাড়া করেছেন একই এলাকার প্রভাবশালী মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা।  উপজেলার তিন নম্বর দামোদরপুর ইউনিয়নের মরূয়াদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
 
লিখিত বক্তব্যে শামীম বলেন, ২৩ অক্টোবর সকালে সাদুল্ল্যাপুর বন্দরে যাওয়ার পথে ওই এলাকার মাজেদ মেম্বরের বাড়ির সামনে পৌঁছান তিনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই এলাকার মৃত গনি মণ্ডলের ছেলে সাখায়াত হোসেনের নির্দেশে খোকন মিয়া, সাহাবুদ্দিন মণ্ডল, রফিকুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, তিতু, নিতু, জনি, জিসাদ, শরিফুল ইসলাম, রুবেল, মাইন, মিশু, আলম মিয়া ও কামরুলসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জন তার ওপর হামলা চালান। এসময় তাকে মারধর করা হয়।  

পরে শামীম বাড়িতে গেলে হামলাকারীরা তার বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাবা আবুল কাশেম, মা হাসিনা বেগমসহ, জেঠতুতো ভাই মিলনও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় তাদের চিৎকারে তার চাচাতো বোন জরিনা, ফুপু বেছোয়া বেগম এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করেন হামলাকারীরা।

মারধরের একপর্যায়ে তারা বাড়ির সবগুলো ঘরে অগ্নিসংযোগ করে এবং বাড়ির গাছপালা কেটে ফেলেন। বাড়িতে থাকা গবাদিপশু, ধান, চাল, নগদ টাকা, অলঙ্কারসহ প্রায় ১৯ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান।

পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওইদিনই সাদুল্ল্যাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শামীম।

সাদুল্ল্যাপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হামলাকারী খোকন ও সাখায়াতকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।  

আসামিরা জামিনে বেড়িয়ে এসে তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।  

শামীম আরও বলেন, যে জমি নিয়ে সংঘর্ষ হয় মামলার এক নম্বর আসামি সাখায়াত গাইবান্ধা কোর্টে জমি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। তাতে তিনি হেরে যাওয়ায় আমাদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত করেছে।

আমরা প্রায় ৬ পরিবারের ২০ জন সদস্য বসতবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে আছি। মামলা দেওয়ার পরেও বিভিন্ন হুমকি-ধামকির ভয়ে আমরা আতঙ্কে জীবন-যাপন করছি। এখন আমাদের পরিবার নিয়ে থাকার জায়গা নেই। এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনাও করেন শামীম।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।