ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিরলে আগুনে নিঃস্ব ৪৪ পরিবার ভিটেমাটি হারা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৭
বিরলে আগুনে নিঃস্ব ৪৪ পরিবার ভিটেমাটি হারা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দিনাজপুর: শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতে এক অগ্নিকাণ্ডে বাড়ি-ঘর, হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগলসহ সবকিছু মুহুর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সন্তোষ কুমারের। সহায় সম্পদ, ভিটেমাটি সব হারিয়ে  সন্তোষ এখন নি:স্ব, রিক্ত।

সপরিবারে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিলেও সার্বক্ষণিক চিন্তা তার, এখন কিভাবে কি হবে!
 
সন্তানের বই পুড়ে যাওয়ায় পড়াশুনাও বন্ধ রয়েছে । স্থানীয় প্রশাসন ও এনজিও থেকে খাবার দিচ্ছে।

সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় পরনের কাপড়টুকুই শেষ সম্বল। তাই এক কাপড়ে আছে পরিবারের সবাই। কাজে যেতেও পারছেন না। যাতায়াতের একমাত্র উপায়  বাইসাইকেলটিও পুড়ে গেছে।

রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে এভাবেই নিজের অসহায় অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছিলেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের ভয়াবহ আগুনে নিঃস্ব-রিক্ত সন্তোষ কুমার। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমশুক্রবারের আগুনের ঘটনায় ৪৪টি পরিবার সবকিছু হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। এই ৪৪টি পরিবার বর্তমানে ভিটেমাটি ছাড়া। স্থানীয় প্রশাসন তাদের মাঝে ঢেউটিন ও চাল বিতরণ করেছে।

সন্তোষ জানান, শুক্রবারে রাতে ভয়ানক আগুনে এলঅকার ৪৪টি বাড়িঘর মুহুর্তে পুড়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। পরনের কাপড় ছাড়া ৪৪টি পরিবারের হাঁস-মুরগী, চাল-ডাল, বই-খাতা, মূল্যবান কাগজপত্র, কাপড়-আসবাবপত্র সব পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে। সেদিন রাতেই রুদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় নেন সকলে। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে আশ্রিতদের শুকনা খাবার ও পরদিন দীপশিখা এনজিও’র পক্ষ হতে শনিবার তিনবেলা খিচুড়ি ও ভাতের ব্যবস্থা করা হয়।

কান্না জড়ানো কন্ঠে  নিজের দুর্ভাগ্যের কথা বলছিলেন সন্তোষ: এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। এরই মধ্যে সন্তানদের পড়াশুনার ক্ষতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এমন একটি পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছি যা বর্ণনা করবার মতো ভাষা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ,বি,এম, রওশন কবীর জানান, গত শনিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি চাল ও ১ বান্ডিল ঢেউটিন দেওয়া হয়েছে। পর্যাক্রমে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে না ওঠা পর্যন্ত তাদের সহযোগিতা করা হবে।

দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট পৌছে প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় এরই মধ্যে ৪৪টি পরিবারের ঘর-বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিক হিসাবে এঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকারও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।