রোববার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে তারা কিশোরগঞ্জের ৩নম্বর আমল গ্রহণকারী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উবায়দা খানম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদনে অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এএফএম ওবায়দুল্লাহ, অ্যাডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌসসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী।
৩০ অক্টোবর পাকুন্দিয়া ঈদগাহে জনসভা আহ্বান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেণু। পরে একই স্থানে একই সময়ে পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের সমর্থিত ছাত্র লীগ ও যুব লীগ। এসময় সংঘর্ষের আশঙ্কায় প্রশাসন ঈদগাহসহ পাকুন্দিয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
বিকেলে রফিকুল ইসলাম রেণুর কয়েক হাজার সমর্থক লগি বৈঠাসহ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশের উপ পরিদর্শক ( এসআই) রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণুকে প্রধান আসামি করে ৭৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও তিন হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
টিএ