রোববার (৫ নভেম্বর) কাশিয়ানী ইউনিয়নে ২৬৬ জন দুস্থ মাতার মধ্যে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ করা হচ্ছিলো। এ সময় ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহ মোহাম্মদ শিপন ভিজিডি কার্ডে ৩০ কেজি চালের পরিবর্তে ২৬/২৭ কেজি বিতরণের অভিযোগ এনে বিতরণ বন্ধ করার চেষ্টা করেন।
এ খবর পেয়ে কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে শতাধিক লোক জমা হয়ে উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়লে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময়ে কার্ডধারীরা স্বীকার করেন যে, প্রতিবারই তাদের চাল কম দেয়া হয়।
কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন ভিজিডি কর্মসূচির সমন্বয়কারী ও উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর কর্মকর্তা ফারজানা খান সনিয়া চাল বিতরণে বস্তায় চাল কম দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি বিষয়টি জেনেছি।
কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান খান বলেন, ৩০ কেজির বস্তা হিসেবে যেভাবে চাল আসে সেভাবেই আমরা বিতরণ করি। গুদাম থেকেই চাল কম আসে। আমরা এ নিয়ে কয়েকবার প্রতিবাদ করেও কোনো ফল পাইনি।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মাঈন উদ্দিনের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাৎক্ষণিক কয়েকজন চেয়ারম্যানকে নিয়ে জরুরি সভা করেন এবং গুদাম কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ শেখকে ডেকে পাঠান। তবে ভাটিয়াপাড়া খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ মোবাইল ফোনে বলেন, আমি চাল কম দেইনি। গুদাম থেকে আমরা চাল বুঝিয়ে দেই। চেয়ারম্যানরা তা বুঝে নেন। তারপরে যদি বলেন বস্তায় চাল কম রয়েছে তা আইনত গ্রাহ্য হবার কথা নয়। কেন না বরাদ্দকৃত চাল চেয়ারম্যানরা বুঝে নিলেই আমার দায়িত্ব শেষ।
সাজাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা সরল বিশ্বাসে খাদ্য গুদাম থেকে ৩০ কেজির বস্তা হিসেব করে ভিজিডির চাল নিয়ে আসি। গোডাউন থেকে বস্তায় কম দেবে আর চেয়ারম্যানরা চোর সাজবে এটা হতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ০৫ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ