রোববার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আটক করা হয়। আইনজীবী আটকের ঘটনা জানাজানি হলে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয় আদালতপাড়া জুড়ে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হিসাবরক্ষক ঘেনু চন্দ্র রায়।
আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যায় আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হিসাব শাখায় বিভিন্ন চলমান মামলার জামানতের টাকা জমা থাকে। স্বাক্ষর জাল করে এর মধ্যে থেকে বেশ কয়েকটা মামলার প্রায় ১৯ লাখ টাকা দুই আইনজীবী ও আদালতের কর্মকর্তারা হাতিয়ে নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রোববার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই আইনজীবী ও হিসবারক্ষণ কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশ।
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শায়েখ আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, যারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক। কারণ কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, জালিয়াতির ঘটনায় দুই অ্যাডভোকেটসহ তিনজন আটক রয়েছেন। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত কি না আমরা তদন্ত করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ০৫ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ