বিগত এক মাস ধরে মির্জারচর গ্রামের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক ও ফারুকুল ইসলাম এর লাঠিয়াল বাহিনীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। অব্যাহত সংঘর্ষের ধারাবাহিকতায় রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে আবারো টেঁটাযুদ্ধ শুরু হয়।
আহতদের মধ্যে নরসিংদী জেলা ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন হেলাল, বাচ্চু, জয়নাল, কাশেম, বাসেরউদ্দিন, সুলেহা বেগম, আল-আমিন, জয়নাল, কলিমুদ্দিন, সালমা বেগম, বিলকিস নাহা, শাহিনুর আক্তার, বাসেদ মিয়া, আলামিন মিয়া, পারভিন বেগমসহ আরো অজ্ঞাত অনেকেই রয়েছে। অন্যান্য আহতরা পুলিশি ঝামেলা এড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এছাড়াও আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য উভয় লাঠিয়াল বাহিনী এলাকায় গ্রাম পর্যায়ের চিকিৎসকদের সেবা নিচ্ছে।
১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল কাসেম উদ্দিন জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগত এক মাস ধরে টেঁটাযুদ্ধ সংঘটিত হয়ে আসছে। এসময় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ঘটনাও ঘটেছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, বিগত এক মাস ধরে জাফর ইকবাল ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর কারণে প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এ কারণে গ্রামবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এলাকায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ০৫ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ