সোমবার (০৬ নভেম্বর) বিকেলে পৌনে ৫টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আটজন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-বাগাতিপাড়া উপজেলার নন্দিকুজা গ্রামের বিকাশ চন্দ্রের ছেলে পুলক কুমার (২০), একই উপজেলার তমালতলা গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিম (২২) ও লালপুর উপজেলার ধুপইল গ্রামের এনামুল হক সরকারের ছেলে এনায়েত উল হক ওরফে রিয়াদ (২১)।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (২২), শাহ আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (২১), আহম্মদ আলীর ছেলে মুকুল হোসেন (২০), ভাকদিঘা গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে বাবু (১৯), লালপুর উপজেলার ধুপইল গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২১), মিশ্রিপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আতাউর রহমান সুবজ (২০), ধুপইল গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে শান্তা (১৬) ও একই গ্রামের আনসার আলীর মেয়ে সাদিয়া (১৫)।
নাটোর নারী ও শিশু আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শাজাহান কবির বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর বেলা ১১টার সময় বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের এক ছাত্রীকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে রিয়াদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে আসামিরা তাকে গণধর্ষণ করে।
পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে তার দুই বান্ধবীসহ ১১ জনকে আসামি করে গত ২২ নভেম্বর লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আট আসামিকে খালাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ০৬ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ
