ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিকেএসপি’র ৭ কোচের শিক্ষা সনদ জাল!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
বিকেএসপি’র ৭ কোচের শিক্ষা সনদ জাল!

ঢাকা: শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ায় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সাত কোচের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
 

বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়া সাত কোচ হলেন, বিকেএসপির সাবেক চিফ শ্যুটিং কোচ সৈয়দ আসবাব আলী, সাবেক আরচারি কোচ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ফুটবলের বর্তমান কোচ মোহাম্মদ মাকসুদুল আমিন (রানা),  জুডোর বর্তমান কোচ মো. আবু বকর ছিদ্দিক, বক্সিংয়ের বর্তমান কোচ মো. আবু সুফিয়ান চিশতী, জিমন্যাস্টিকসের সাবেক কোচ কাজী আকরাম আলী ও সাবেক বক্সিং কোচ মো. জহির উদ্দিন।



দুদক সূত্রে জানা যায়, কমিশনে ২০১৬ সালে তাদের ব্যাপারে একটি অভিযোগ আসে। এরপর কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ২ এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে নিয়োগ দেয়। অনুসন্ধান শেষে বুধবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন চান কমিশনে। কমিশন তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে।

আরো জানা যায়, বিকেএসপির সাবেক চিফ শ্যুটিং কোচ সৈয়দ আসবাব আলী বিএসসি পাশের জাল সনদপত্র ব্যবহার করেছেন। চাকরিতে যোগ দেন ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ও ইস্তফা দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। সাবেক আরচারি কোচ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বিএসএস (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র ব্যবহার করেন। তিনি জয়েন করেন ২০১৬ সালে ৫ জানুয়ারি ও ইস্তফা দেন ২০১৬ সালের ১১ মে। ফুটবলের বর্তমান কোচ মোহাম্মদ মাকসুদুল আমিন (রানা) বি.এ পাশের জাল সনদপত্র ব্যবহার করেন। তিনি ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি চাকরিতে যোগদান করে এখনও বহাল আছেন।

এছাড়া জুডোর বর্তমান কোচ মো.আবু বকর ছিদ্দিক বি.এ (অনার্স) পাশের জাল সনদপত্র ব্যবহার করেছেন। তিনি চাকরিতে যোগ দেন ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। বক্সিংয়ের বর্তমান কোচ মো. আবু সুফিয়ান চিশতী বি.এ (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র ব্যবহার করেন। তিনি চাকরিতে যোগদান করেন ১৯৯৯ সালের ৪ জুলাই। জিমন্যাস্টিকসের সাবেক কোচ কাজী আকরাম আলী প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসএস পাশের জাল সনদপত্র ব্যবহার করেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি যোগদান করে ইস্তফা দেন ২০১৬ সালের ১২ জুন। সাবেক বক্সিং কোচ মো. জহির উদ্দিন বিএসসি (সম্মান) পাশের জাল সনদপত্র ব্যবহার করে চাকরিতে যোগদান করেন ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ও ইস্তফা দেন ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল।

বাংলাদেশ সময়: ১২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
এসজে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।