ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টা,স্কুলে ভাঙচুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৭
পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টা,স্কুলে ভাঙচুর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে টানা তৃতীয়দিনের মতো আন্দোলন করেছেন নারায়ণগঞ্জের মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া ছাত্রীরা। এ সময় এক ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। 

বুধবার (০৮ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহরের দেওভোগ এলাকার স্কুল মাঠে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।  
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের দাবিতে গত ৬ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন অকৃতকার্য ছাত্রীরা।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।  

বুধবারও সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। কিন্তু এদিন দুপুর পর্যন্ত এসএসসির ফরম পূরণের সুযোগ না দেওয়ায় তখন থেকেই স্কুলের মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও সামবেশ করেন আন্দোলন ছাত্রীরা। এ সময় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।  

খবর পেয়ে স্কুলের কয়েকজন কর্মকর্তা ও অভিভাবক ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। দিনভর আন্দোলনের ফলে কয়েকজন ছাত্রী সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা স্কুলের কমন রুমে ভাঙচুর শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।  
 
মাসুম মিয়া নামে এক অভিভাবক অভিযোগ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কোচিং করানোর জন্য সব সময় বাধ্য করেছে। যারা কোচিংয়ে পড়েছে তারাই পাস করেছে। যারা তাদের কোচিংয়ে ভর্তি হয়নি তাদের ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অশোক কুমার সাহা। তিনি বলেন, কোচিংয়ের বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটাও সত্য নয়।  

‘আর নির্বাচনী পরীক্ষায় ৫৩২ জন ছাত্রী অংশ নেয়। এরমধ্যে সব বিষয়ে পাস করে ৩৫৪ জন। আর ১ বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে ১২০ জন। তাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ’ 

৩০ জন ২ বিষয়ে ও ২৮ জন ৩ বা এরও বেশি বিষয়ে ফেল করেছে জানিয়ে অধ্যক্ষ অমোক বলেন, এ বিষয়ে ম্যানিজিং কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসবিন জেবিন বিনতে শেখ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। এ জন্য সময় প্রয়োজন।
 
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন শাহ পারভেজ বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্যই স্কুলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কয়েকজন বহিরাগত ছেলে স্কুলের কমন রুম ভাঙার চেষ্টা করে; সেখানে গিয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
 
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মো. শরফুদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা করে বিষয়টির সমাধান করা হবে। এ আশ্বাস দিলে বাড়ি ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এমএ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।