স্থানীয় এক প্রভাবশালী গণ শৌচাগার ও বিশ্রামাগারটি ইজারা নিয়ে রাতারাতি লেপ-তোষকের দোকান তৈরি করেছেন। গণ শৌচাগারটি করেছেন তালাবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বিশ্রামাগারে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত এক কারিগর। গণ শৌচাগার হয়ে আছে তালা বদ্ধ। বিশ্রামাগারে মানুষের স্থানে বিশ্রাম নিচ্ছে তুলার বস্তা ও লেপ-তোষক। সাধারণ মানুষদের বিশ্রাম করতে দেওয়া হয়না এখানে। জনসাধারনের জন্য খুলে রাখা হয়নি গণ শৌচাগারটিও। এর মধ্যেই উপস্থিত হলেন লেপ-তোষকের দোকান মালিক ইতি আক্তার।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে এখানে লেপ-তোষকের দোকান পরিচালনা করছেন। এখানে কেউ বসেনা তাই আমি দোকান দিয়েছি। গণ শৌচাগার তালা বদ্ধ হলেও চাবি আমার কাছে রয়েছে। যার প্রয়োজন সে আমার কাছ থেকে চাবি নেবে। এছাড়া আমার দোকান নিয়ে কারোই অসুবিধা নেই। আপনারা কেন এবিষয়ে এসেছেন? কোনা কিছু লেখালেখি করবেন না। এক পর্যায়ে দোকানি ইতি এই প্রতিবেদককে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্ঠা করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ- জেলা পরিষদের সঠিক তদারকি না থাকায় গণ শৌচাগার ও বিশ্রামাগার এখন লেপ-তোষকের দোকান। এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না দিলে সাধারণ মানুষের কিছু করার নেই।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, গণ শৌচাগার ও বিশ্রামাগারটি প্রতি বছর ইজারা দেওয়া হয়। চলতি বছর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাসিমপুর এলাকার মধুসুধন দাসের ছেলে অরুন কুমার দাস ২ হাজার ৪৬০ টাকায় ইজারা নিয়েছেন। পুলহাট গণ শৌচাগার ও বিশ্রামাগারটি লেপ-তোষকের দোকান হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। এই তথ্যটি না জানার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে।
এছাড়া পুলহাট গণ শৌচাগার ও বিশ্রামাগারটির পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য বাংলানিউজকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এব্যাপারে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
বিএস