ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মোদিকে আমন্ত্রণ, মমতাকে ইলিশের দাওয়াত শেখ হাসিনার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৭
মোদিকে আমন্ত্রণ, মমতাকে ইলিশের দাওয়াত শেখ হাসিনার  ছবি: পিআইডির সৌজন্যে

ঢাকা: রেল যোগাযোগ প্রসারে চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

যৌথ ভিডিও কনফারেন্সে প্রকল্পগুলো উদ্বোধনকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।  

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকায় গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ও দিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নরেন্দ্র মোদি যৌথ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।

 

ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা-কলকাতা চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের জন্য ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কার্যক্রম উদ্বোধন, খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল এবং বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মিত দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

আরও পড়ুন>>
** 
উদ্বোধন হলো বন্ধন ও ননস্টপ মৈত্রী এক্সপ্রেসের

দিল্লিতে মোদির সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। হাওড়ায় নিজ কার্যালয় ‘নবান্ন’ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এছাড়া ভৈরব থেকে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, কলকাতা রেল স্টেশনের আন্তর্জাতিক টার্মিনাল থেকে ভারতীয় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। মমতাকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দিদি, ইলিশ মাছ আছে। আসেন, খাওয়াবো। ’

বক্তব্যের শুরুতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিওয়ালি ও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান।

চারটি প্রকল্প উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। ’ 

এ সময় ১৯৬৫ সালের আগে দুই দেশের মধ্যে থাকা সব ধরনের যোগাযোগ পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান শেখ হাসিনা।

দুই দেশের সর্ম্পকের বন্ধন আরও দৃঢ় হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ভারত এবং অন্যান্য নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বাড়াতে চাই। যেখানে আমরা সুপ্রতিবেশী হিসেবে পাশাপাশি বসবাস করতে পারি এবং জনগণের কল্যাণের জন্য গঠনমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি।

‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক বস্তুতপক্ষে এ অঞ্চলে এবং অঞ্চল ছাড়িয়ে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ’

ভিডিও কনফারেন্সে নিজের বক্তব্যের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

‘আমাদের মৈত্রী ও বন্ধন আরও সুদৃঢ় হলো,’ বাংলায় আরও বলেন নরেন্দ্র মোদি।  

তিনি এও বলেন, ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ককেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেননা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রতিবেশীর মতোই সম্পর্ক থাকা দরকার। দেখা-সাক্ষাৎ হওয়া দরকার। ’ 

কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস চালুর মাধ্যমে এই দুই অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্য আরও জোরদার হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোদি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে মমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও পশ্চিমবঙ্গ সফরের আমন্ত্রণ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণকে দুর্গাপূজা ও কালীপূজার শুভেচ্ছা জানান তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্ক ভালো। বন্ধন ও ননস্টপ মৈত্রী এক্সপ্রেস চালুর মধ্য দিয়ে দুই দেশের এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।