তিনি বলেন, রোহিঙ্গা আমাদের কাছে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা আমরা সহ্য করতে পারিনি, তাই তাদের আমাদের এখানে জায়গা দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার আড়াইআনি পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিফলক উন্মোচন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে টেকনাফ ও উখিয়ার পাহাড় ও বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, সেজন্য এদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনী দিন-রাত কাজ করছে। এছাড়া কেউ যাতে রোহিঙ্গাদের কাছে জমি বিক্রি করতে না পারে সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নজর রাখছে।
বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য রাখা, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করছেন এবং পুলিশের জন্য আধুনিক আবাসস্থল ও উন্নত যানবাহনের ব্যবস্থা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নালিতাবাড়ীতে নতুন পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন, নতুন থানা ভবন ও ফায়ার সার্ভিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, যোগ করেন মন্ত্রী।
এসময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তার সঙ্গে ছিলেন। পরে দুই মন্ত্রী নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও নালিতাবাড়ী থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। তাদের সঙ্গে শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দুই মন্ত্রী পরে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার, থানা ভবন এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার সব ইউনিয়নের আনসার-ভিডিপি সদস্য ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় থেকে ১০ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণির সেরা ২০ জন করে শিক্ষার্থীর মধ্যে সোলার বাতি বিতরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৭
এসআই