ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

যশোরে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৭
যশোরে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা যশোরে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা

যশোর: যশোরের কেশবপুর থানা পুলিশের তিন কর্মকর্তা ও দুই কনস্টেবলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।

কেশবপুর উপজেলার আঠন্ডা গ্রামের বজলুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে যশোর আদালতে এ মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আকরাম হোসেন বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআইকে) নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মামলার আসামিরা হলেন, কেশবপুর থানার উপ-পরিদর্শক  (এসআই) মুজাহিদ, সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর, এএসআই আশরাফুল, কনস্টেবল সালাহউদ্দিন, থানার গাড়িচালক কনস্টেবল মজনু ও পুলিশের কথিত সোর্স বাগদা গ্রামের মৃত করিম মোড়লের ছেলে ফজলুর রহমান।

অভিযোগে বলা হয়, বজলুর রহমানের চার ছেলে। এর মধ্যে বড় ছেলে পুরনো মোটর সাইকেল কেনাবেচার ব্যবসা ও অন্য তিন ছেলে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালানোর পাশাপাশি নিজেদের কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন।  

গত ৫ নভেম্বর দিনগত গভীর রাতে আসামিরা বাড়িতে এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়ির লোকজনদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে জানায়, তাদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক আছে বলে ঘর তল্লাশি করতে চায়। এ সময় তারা বাড়ির সব আলো নিভিয়ে দিতে বললে তাদের সন্দেহ হয়।

পরে তারা ঘরে ঢুকতে গেলে বাদী আয়েশা বেগম তাদের বাঁধা দেন। তখন তারা আয়েশাকে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে।

পরে আসামিরা বাদীর ঘরে ঢুকে তল্লাশি করে বেআইনি কিছু না পেয়ে চার বৌয়ের ছয় ভরি সোনার গহনা, মোটর সাইকেল বিক্রির দুই লাখ দশ হাজার টাকা ও বেশকিছু কাজগপত্র নিয়ে যায়।  

অভিযোগে আরও বলা হয়, এসআই মুজাহিদ যাওয়ার সময় বাড়ির লোকজনদের এসব নিয়ে ঝামেলা করলে ধরে নিয়ে মামলা ও ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে- শাসিয়ে যান।  

পরদিন সকালে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। অবশেষে আয়েশা বেগম আদালতে এ অভিযোগ দেন বলে জানিয়েছেন।

তবে এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাহাঙ্গীর একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, পুরো ঘটনার কোনো গ্রাউন্ড নেই। তাছাড়া যেসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তারা খুবই সৎ। ’

বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
ইউজি/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।