ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বয়োঃসন্ধির আগেই নির্যাতনের শিকার ৯০ শতাংশ শিশু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
বয়োঃসন্ধির আগেই নির্যাতনের শিকার ৯০ শতাংশ শিশু পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে সমীক্ষার তথ্য/ছবি: শাকিল-বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে বয়োঃসন্ধির আগেই নির্যাতনের শিকার হয় ৯০ শতাংশ শিশু। যার মধ্যে ৮৩ শতাংশই আক্রান্ত হয় নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে। নিরাপদ শৈশবের উদ্দেশ্য (নিশু) নামে একটি সংগঠনের সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সংগঠনটির 'এ জার্নি টোয়ার্ডস এ সাফার চাইল্ডহুড' শীর্ষক আলোচনায় এ তথ্য তুলে ধরে।

নিশু’র তথ্যমতে, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যৌন নিপীড়নের শিকার হয় ৩০ শতাংশ শিশু।

পঞ্চম শ্রেণিতে যেতে না যেতে নির্যাতনের হার দাঁড়ায় ৯০ শতাংশে। যা শিশুর নিকটাত্মীয় ও পূর্ব পরিচিতদের মাধ্যমে হয়।  

সংগঠনটি ঢাকা ও সাতক্ষীরার ১০টি স্কুলের ৬শ শিশুর উপর এ জরিপ পরিচালনা করে। এর মধ্যে দু’টি বিশেষ স্কুলও রয়েছে।

আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ইফফাত জাহান তুষার ‍অনুষ্ঠান শেষে বাংলানিউজকে বলেন, শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা খুবই ভয়ানক। শিশুদের সঙ্গে যারা এ ধরনের ‍আচরণ করছে সবাই তাদের আত্মীয়-স্বজন ও পূর্বপরিচিত। ফলে শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে খারাপ আদর বুঝতে পারলেও তার প্রতিব‍াদ করতে পারে ‍না।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিশুদের সুরক্ষায় বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে কনটেস্ট করে আইন প্রণয়ন করলেও তা শিশুদের রক্ষা করতে পারছে না। কেননা বাবা-মা, শিক্ষক ও আত্মীয়-স্বজনরা ফ্রি ‍না শিশুদের সঙ্গে। তাই বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের বন্ধু হয়ে তার কথা শোনা।

আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ইফফাত জাহান তুষারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ডেইলি এশিয়ান এজের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি শোয়েব চৌধুরী, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল মাবুদ প্রমুখ।

এসময় প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নুরুন নাহার ওসমানী, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রোকসানা সুলতানাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,  বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ও আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যাপকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।