ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সবার আগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো: মোস্তফা

বেরোবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
সবার আগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো: মোস্তফা মেয়েসহ নব-নির্বাচিত নগরপিতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা/ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নব-নির্বাচিত নগরপিতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, আমার প্রথম কাজ হবে নগরীর রাস্তাঘাট ঠিক করা। বর্তমানে এসব রাস্তাঘাট দিয়ে চলাচল করা যায় না।

মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। নগরবাসীকে দুর্বিষহ এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে প্রথমেই রাস্তাঘাট সংস্কার, মেরামত ও নির্মাণ করতে চাই।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিজয়ীর বেশে নগরীর দর্শনা মোড়স্থ এরশাদের বাসভবন ‘পল্লি নিবাসে’ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন,  এরপর আমি শ্যামাসুন্দরী খাল দখলমুক্ত করে তাতে পানির ধারা প্রবাহিত করার ব্যবস্থা করবো। শ্যামাসুন্দরীকে ঘাঘট টু ঘাঘটে নিয়ে যেতে চাই। ময়লা আবর্জনা শ্যামাসুন্দরীর স্রোত দিয়ে বয়ে দিয়ে পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে চাই।

নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানিয়ে নব নির্বাচিত এ নগরপিতা বলেন, নগরীর যানজট নিরসনে কাজ করতে চাই। আগামী ২০০ বছরের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে মাথায় রেখে মাস্টার প্লানের মাধ্যমে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জন্য আলাদা লেন এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে প্রয়োজনে রাস্তা সংস্কার ও বড় করে যানজটমুক্ত একটি নগরী বানাতে চাই আমি।

তিনি বলেন, আমার চতুর্থ কাজ হবে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কাউন্সিলর অফিস প্রতিষ্ঠা করা। যাতে নগর ভবনে না গিয়েই নাগরিকেরা কম সময়ের মধ্যে তাদের যাবতীয় সনদ এবং সেবা ওই সব কাউন্সিলর অফিস থেকে গ্রহণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: মোস্তফাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবেন ঝন্টু

তিনি বলেন,  পবিত্র ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতর এবং শারদীয় দুর্গাপূজার সময় নগরীর অসহায়, বিধবা, এতিম ও বৃদ্ধদের এক হাজার ৩৫০ টাকা করে উৎসবভাতা দেওয়া। এ জন্য ব্যয় হবে এক কোটি ৭২ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, জনগণ সিটি করপোরেশনকে ট্যাক্স দেন। সেই টাকা থেকেই আমি অসহায় মানুষের মুখে উৎসবের দিনগুলোতে হাসি ফোটাব। এটা মূলত জনগণের টাকা। আমি শুধু ব্যবস্থাপনা করে দেবো।

রংপুর সিটি করপোরেশনে ট্যাক্সের হার কমিয়ে সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসবো। অগ্রাধিকার দিয়ে বর্ধিত এলাকায় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার কাজটিও করবো আমি।

যেখানে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের গড় ট্যাক্স ২১ ভাগ এবং রংপুর সিটি করপোরেশনের ট্যাক্সের গড় হার ২২ ভাগ। অথচ ঢাকায় গড় ট্যাক্সের হার ৯ ভাগ। ঢাকায় যারা সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তাদের ট্যাক্স যদি কম হয় তাহলে যাদের ঘামের গন্ধের রোজগার দিয়ে বড় সিটি করপোরেশন চলে তাদের ট্যাক্স বেশি হবে কেন?

তিনি আরও বলেন, আমি চাই রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস আনার ব্যাপারে নগরবাসীকে নিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তা বাস্তবায়ন করে কলকারখানা স্থাপন এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরি ও একটি প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করতে। গ্যাস নিয়ে আসতে পারলে রংপুরের উন্নয়ন অনেক বেশি ত্বরান্বিত হবে।

এছাড়াও আমি সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে কম বেতন কিন্তু মানসম্পন্ন একটি প্লে থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করবো। কারণ নগরীর বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বেতন এতোটাই বেশি যে সাধারণ ঘরের মেধাবী সন্তানরা চান্স পেলেও অর্থের অভাবে পড়তে পারে না। এক সময় এটিকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখি।

তিনি বলেন, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উত্তরাঞ্চলের আট জেলার মানুষ আসেন। সে কারণে সব সময় আসনের থেকে দ্বিগুণ তিন গুণ রোগী ভর্তি হন। এজন্য আমি সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে একটি আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবো যেখানে কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা পাবেন নগরবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
এসএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।