ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, তাপমাত্রা ৪.৮

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, তাপমাত্রা ৪.৮ দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত/ ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। যা সোমবার (৮ জানুয়ারি) ছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা। তবে এখন থেকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে আরও দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে।  

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতর ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, শনিবার (৬ জানুয়ারি) কমে হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, রোববার (৭ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি ও সোমবার (৮ জানুয়ারি) চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।  

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (৮ জানুয়ারি) এ অঞ্চলের তাপমাত্রা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়। গত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত মৌসুমের চেয়ে ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ শৈত্যপ্রবাহ কমে আসবে। তবে শীতের দাপট মাস জুড়েই থাকবে। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে আরও দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।  

এদিকে, তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে ছিন্নমূল মানুষের যেমন বাড়ছে দুর্ভোগ, তেমনি কনকনে ঠাণ্ডায় কাজ করতে না পারায় শ্রমজীবীরা পড়েছেন বিপাকে।  

এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশায় যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যানবাহন গুলো চলাচলে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। অপরদিকে ঘন কুয়াশায় ট্রেন চলাচলেও প্রভাব পড়ছে।

দিনাজপুর জেলা  ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় দুস্থদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে ১ লাখ কম্বল চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে জরুরি ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে। যা দ্রুত এসে পৌঁছাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।