মশার উৎপাতে নাজেহাল নগরবাসী ডিএনসিসির এই উদ্যোগকে যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে দেখেছিলেন। কিন্তু হটলাইন চালুর প্রথম দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কল করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে এ উদ্যোগকে গাধার সামনে মূলা ঝোলানো বলে মনে করছেন নগরবাসী।
মিরপুরের সাংবাদিক কলোনির অধিবাসী আবুল মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হটলাইন নম্বরে (০১৯৩২-৬৬৫৫৪৪) কল করার চেষ্টা করে বিফল হয়েছি। কখনো রিংটোন বাজলেও ওপার থেকে কেউ তা রিসিভ করছেন না। কখনো তা ব্যাস্ত দেখাচ্ছে। আবার কখনো তা কেটে দেওয়া হচ্ছে।
রামপুরার বনশ্রী থেকে হটলাইনে বার বার কল দিয়েও লাইনে ঢুকতে পারেননি মোশরেফা নাজনিন। তিনি বলেন, শুরুর দিকে হয়তো অনেকেই নম্বরটিতে কল দিচ্ছেন। তাই বলে টানা চার ঘণ্টা চেষ্টা করেও লাইন পাওয়া যাবে না? এটা অবিশ্বাস্য! হটলাইন চালু করে একটি মাত্র নম্বর দেওয়া ডিএনসিসির এক ধরনের প্রতারণা।
একটি মাত্র নম্বর দিয়ে হটলাইন চালু করাকে গাধার সামনে ঝুলানো মূলো হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মশা মারতে ব্যর্থ ডিএনসিসি হটলাইন চালুর মাধ্যমে নগরবাসীর সঙ্গে রসিকতা করেছেন বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন হটলাইন চালুর ঘোষণা দেয় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)। ডিএনসিসির নগর ভবনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
একইসঙ্গে ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া চলমান মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের মেয়াদ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে বাড়িয়ে ১৫ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।
ডিএনসিসি’র জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, সাধারণত প্রতিদিন যে পরিমাণ মশার ওষুধ ছিটানো হয় ক্রাশ প্রোগ্রাম চলাকালে তার দ্বিগুণ ওষুধ ছিটানো হয়। ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হচ্ছে কি না তা মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সভায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় নগরীর যেকোনো ব্যক্তি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) হটলাইনে কল করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই স্থানে মশার ওষুধ ছিটানো হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জনসাধারণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ডিএনসিসি এই হটলাইন চালু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ