চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেণ্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকা হিসেবে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এসময় ইলিশসহ যেকোনো মাছ ধরা, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় ৫১ হাজার ১৯০ জন তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছে। এসব জেলেদের ওই দুই মাস বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন, গবাদি পশু ও অন্যান্য সমাগ্রী দেওয়া হবে। এছাড়া ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৪ মাস প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যাতে করে জেলেরা জাটকা নিধন না করেন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি বাংলানিউজকে বলেন, জাটকা রক্ষার দুই মাসের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা শুরু হয়েছে। আমরা জেলে, জেলে সংগঠনের নেতা, জনপ্রতিনিধিসহ সব কমিউনিটি লোকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। নদী উপকূলীয় এলাকায় জাটকা নিধন না করার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। দুই মাস নদীতে জেলা টাস্কফোর্স নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবে। এরপরও যদি কোনো জেলে আইন অমান্য করে মাছ আহরণ করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, জনপ্রতিনিধি, কোস্টগার্ড ও জেলে নেতাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা ও সমন্বয় করেছি। আইন অমান্য করে জাটকা আহরণ করলে আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নৌ এলাকার সব থানা ও ইউনিটের পুলিশ নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, ইলিশ দিয়েই চাঁদপুর জেলা ব্র্যান্ডিং হয়েছে। তাই এ ইলিশ রক্ষার দায়িত্ব চাঁদপুরের মানুষের। আমরা সব শ্রেণীপেশার লোকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছি। জাটকা নিধনের সঙ্গে জড়িত কাউকেই কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা চাঁদপুরের বিগত দিনের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে চাই। সবার সহযোগিতা থাকলে অবশ্যই দুই মাসের এ কর্মসূচি সফল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৮
আরবি/