বুধবার বিকেলে ভিডিও কলে সর্বশেষ কথা হয় রায়হানের সঙ্গে তার স্ত্রী সোহানা খাতুনের। রাত ১০টার দিকে টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারে পরিবার তার নিহত হওয়ার খবর।
মালিতে দুষ্কৃতিকারীদের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কর্মরত চার বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহত হন। এর মধ্যে সৈনিক রায়হান প্রামাণিকের বাড়ি পাবনার সাথিয়া উপজেলার সমাশনারী গ্রামে।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) দুপুরে ওই গ্রামে রায়হানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসীর ভিড়, আর স্বজনদের আহাজারী। রায়হানের বাবা মোসলেম প্রামাণিক বাড়ির উঠানে বসে আছেন তার অবুঝ দুই শিশুকে নিয়ে। স্থানীয়দের কোনো সান্তনাতেই কমছে না তার শোক।
এদিকে বারবার চোখ মুছে যাচ্ছেন স্ত্রী শোহানা ও মা রহিমা বেগম।
নিহত রায়হানের ছোট বোন আঁখি খাতুন বাংলানিউজকে জানান, দরিদ্র পরিবারের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন তার ভাই। শান্তিরক্ষা মিশনের আয়ে বদলে যাবে পরিবারে অসচ্ছল আর দুর্দশা, এমন স্বপ্ন নিয়েই ভাই মিশনে যান। কিন্তু হঠাৎ এ ঘটনায় তাদের পরিবারের সবাই হতবিহ্বল। অবুঝ দুই শিশুর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত সবাই।
বুধবার মালির মোপ্তি এলাকার বনি ও দোয়েনতোজা শহরের সংযোগ সড়ক দিয়ে শান্তিরক্ষীরা গাড়িতে করে যাওয়ার পথে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাস্তায় পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহত হন এবং আহত হন অপর চার বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
আরবি/