মঙ্গলবার (৬ মার্চ) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে আহত জেলেদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার (৫ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে সুন্দরবনের কটকার বন্দেখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত জেলেরা হলেন-আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, মো. জাকারিয়া, আব্দুল কুদ্দুস ও শাহজাহান। তাদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হরিণঘাটা এলাকায়। এর মধ্যে তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং আব্দুর রাজ্জাককে ভর্তি করা হয়েছে।
বন্দিদশা থেকে ফেরত আসা আহত জেলেরা জানান, সোমবার দুপুরে সুন্দরবন সংলগ্ন বন্দেখালী এলাকায় জাল ফেলে অপেক্ষা করছিল তারা। এসময় বনের ভেতর থেকে তিনজন লোক এসে চার জেলের হাত বেঁধে মারধর করে।
সোমবার র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই দস্যু তাদের সদস্য দাবি করে এবং এ কাজে তারা র্যাবকে সহযোগিতা করেছে এমন অভিযোগে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে দস্যুরা। পরে দুপুর দেড়টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাদের বেঁধে রাখে। পরে কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা পালিয়ে যায়।
আহত রাজ্জাক বলেন, ওই দস্যুরা মামা-ভাগ্নে বাহিনী বলে পরিচয় দিলেও নাম ঠিকানা বলেনি এবং তাদের প্রত্যেকের হাতে দোনালা বন্দুক ছিল। কোস্টগার্ড না গেলে দস্যুরা তাদের গুলি করে মেরে ফেলতো বলেও জানায় জেলেরা।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ইতোপূর্বে দস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে এই জেলেদের অপহরণ করছিল। মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এলেও র্যাবকে সহযোগিতা করার অভিযোগে তাদের আবার মারধর করে।
কোস্টগার্ডের সুন্দরবনের কচিখালী ক্যাম্পের পেটি অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা পালিয়ে যায়। পরে আহত জেলেদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।
এ ব্যাপারে র্যাব-৮ এর বরিশাল ক্যাম্পের উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজিবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
আরএ