মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার উত্তর চর আবাবিলের দিঘলদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটার খবর পেয়ে বুধবার (৭ মার্চ) বিকেলে সেখানে গেছে নিকটস্থ হায়দরগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এলাকাবাসী জানান, হামলার সময় শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আবু আরমানের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার চুক্তিতে একই গ্রামের হারুন ঢালীর ছেলে সাইফুল ইসলাম অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা নেন। কিন্তু এরপর তিনি অন্যত্র গিয়ে কাজ করেন। তাই মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার কাছে টাকা ফেরত চান আবু আরমান। এতে সাইফুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন।
রাত ৩টার দিকে সাইফুল ও তার চাচাতো ভাই আনোয়ার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ৭-৮ জনকে নিয়ে গিয়ে আবু আরমানের টিনের ঘর এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এরপর তারা ঘরের টেলিভিশনসহ কয়েকটি আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় বাধা দিতে গেলে আবু আরমান, তার স্ত্রী রিনা আক্তার ও চার বছরের শিশু আরাফাত গাজীকে মারধর করা হয়। এরপর তারা ঘরের পাশে ফার্নিচারের দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কিছু প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্যা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হামলার ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়ে দেখে এসেছেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলায়মান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যব্স্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এসআর/এইচএ/