শুক্রবার (০৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, দেশের রাজনৈতিক-সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উপর তলার নারীদের ব্যাপক ভূমিকা ও সম্মান রয়েছে কিন্তু আমরা এখনো নারী শ্রমিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।
গত এক বছরে গার্মেন্টসে কর্মরত নারী শ্রমিকদের সংখ্যা কমেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর প্রধান কারণ হচ্ছে গার্মেন্টসে আধুনিক মেশিনে মালিক পক্ষ পুরুষ শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু প্রশিক্ষণ দিলে নারীরাও তা চালাতে পারবে। এর আগেও তা প্রমাণিত হয়েছে। সংসদের সংরক্ষিত আসনে নারী প্রার্থীদের সরাসরি নির্বাচন হবে। বিষয়টি সংশোধন করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেই কি তারা সংসদে সমঅধিকার পাবেন? বিভিন্ন পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব আসছে ঠিকই তবুও তাদের সমঅধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না।
তিনি বলেন, নারীদের নিয়ে যতই আলোচনা হোক না কেন, সব খানেই অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়। কিন্তু বৈষম্য দূরীকরণে কোনো আলোচনা হয় না। এমনকি বৈষম্য টি দূরও হয় না। মজুরির ক্ষেত্রে এখনও নারী-পুরুষ বৈষম্য রয়ে গেছে। নারী শ্রমিকদের বেতন কম দেয়া হয়। এ পরিস্থিতি থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল আহসান ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য অ্যাডভোকেট জোবায়দা পারভীন, তৌহিদুর রহমান, সালাউদ্দিন স্বপন, দেলোয়ার হোসেন, কামরুল হাসান, শাহানা ফেরদৌসী লাকী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নারী শ্রমিকদের প্রতিবন্ধকতা দূর করার লক্ষ্যে বেশ কিছু দাবি উল্লেখ করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে- মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস কার্যকর, প্রতিটি কারখানায় 'যৌন হয়রানি নিরোধ কমিটি' গঠন, পরিবার ও কর্মক্ষেত্রে এবং রাষ্ট্র সর্বত্র নারীর সমান অধিকার, নারী-পুরুষ বৈষম্য বিলোপ, চাকরিক্ষেত্রে সমঅধিকার, সমমজুরি ও সমপদোন্নতি নিশ্চিত করা, গার্মেন্টস কারখানায় চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, শ্রমিকদের জন্য বিনা খরচে মেটার্নিটি সেন্টার প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এমএএম/আরআইএস/