শুক্রবার (৯ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চরমোনাই ইউনিয়ন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে এ ছয় মরদেহ পাওয়া যায়।
এরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ি উপজেলার পাচনখোলা এলাকার মৃত খায়েরুদ্দিন ঢালীর ছেলে বাদশা ঢালী (৬৫), গাজীপুর সদরের আবদুল মালেকের ছেলে ইফতেখার (৯), আমানউল্লাহ দেওয়ানের ছেলে শাহ আলী (২৮), একই জেলার ভবানীপুরের জাকির হোসেন দিলদার (৩০), ময়মনসিংহের মকবুল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও লক্ষীপুরের হেদায়েত হোসেন ছেলে আবদুল কুদ্দুস (২৪)।
বরিশাল সদর নৌ-থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ ফকির বাংলানিউজকে জানান, গত বুধবার (৭ মার্চ) যেখানে ট্রলার ডুবেছিলো, তার পাশ থেকেই ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বরিশাল নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেল্লাল হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে ট্রলারটি বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়ার প্রান্ত থেকে কীতর্নখোলা পাড়ি দিয়ে চরমোনাই লঞ্চঘাট যায়। ঘাটে থাকা কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের পেছনে নোঙ্গর করে চরমোনাই মাহফিলগামী মুসল্লিদের নামাতে গেলে ট্রলারটি কাত হয়ে যায়। এসময় পেছনে থেকে অন্য একটি ট্রলার ধাক্কা দিলে সেটি ডুবেই যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা নদীতে বিভিন্নভাবে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নদীর তলদেশে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গেলেও নিখোঁজদের কোনো হদিস মেলেনি।
থানা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর আর কোনো মরদেহ না পাওয়ায় সন্ধ্যা নামতেই শুক্রবারের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮/আপডেট ১৮৪৯ ঘণ্টা
এমএস/ওএইচ/