শুক্রবার (০৯ মার্চ) বিকেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দুপুরে আসামের গৌহাটি থেকে মেঘালয়ের শিলং বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী সাংমা।
পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে উভয়ে বাংলাদেশ ও মেঘালয়ের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
এরপর মেঘালয়ের বেলাত বাজার এলাকায় যান রাষ্ট্রপতি; যেস্থানটি তার স্মৃতি বিজরিত। এ সময় স্থানীয় বেলাত গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এর আগে সফরের প্রথমদিন বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) দুপুরে আসামের গৌহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি।
জানা যায়, সফরের অংশ হিসেবে আসামের পর রাষ্ট্রপতি এখন মেঘালয়ে রয়েছেন; যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অবস্থান করেছিলেন। বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (মুজিব বাহিনী) এর সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
মো. আবদুল হামিদ ১১ মার্চ (রোববার) নয়াদিল্লিতে আইএসএ এর সম্মেলনে যোগ দেবেন। এবারের সম্মেলনে প্রায় ২৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও নয়জন মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
আইএসএ একটি প্রথম চুক্তিভিত্তিক আন্তর্জাতিক ও আন্তঃসরকারি সংস্থা যার সদর দফতর ভারতে। এর সচিবালয় হরিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁও জেলায়।
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর চাপ কমাতে এবং সৌর শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলাঁদ ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্স (আইএসএ) গঠন করেন।
আইএসএ সৌর শক্তি সমৃদ্ধ দেশগুলোর একটি জোট; যা থেকে তারা তাদের বিশেষ জ্বালানি চাহিদা মেটায় এবং সর্বসম্মতিক্রমে ঘাটতিগুলো চিহ্নিতকরণে একটি জোট গঠনে সহায়তা করবে।
সফর শেষে ১২মার্চ (সোমবার) রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮/আপডেট: ১৮৩৬
এমএ