রোববার (১১ মার্চ) ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সের (আইএসএ) ‘ফাউন্ডিং কনফারেন্সে’ তিনি এ আহ্বান জানান।
দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন কালচারাল সেন্টারে (আরবিসিসি) বিশ্বের ১২১ দেশের সৌরবিদ্যুৎ সহযোগিতাবিষয়ক জোটের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন খুবই জরুরি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ শুধু আন্তর্জাতিক বিষয় নয়, বরং প্রান্তিক মানুষের জ্বালানি সুবিধা নিশ্চিতের জন্য এ উদ্যোগ। বৈশ্বিক জ্বালানি নিরাপত্তার জন্যও এটি অপরিহার্য।
‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা মেটানোর জন্য সমন্বিত নীতি ও বড় ধরনের অর্থায়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিশ্ব সম্প্রদায়কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ’
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের ক্ষতির দিকও তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাব দেখা দিচ্ছে বাংলাদেশেও। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে দায়ী না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা সম্মেলনে তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এ সম্মেলনের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার, গবেষণা ও উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আইএসএ’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সবার জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। এক্ষেত্রে বিশ্বকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সেম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। স্বাগত বক্তব্য দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলংকা, ফ্রান্সসহ ২৩ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং ৯ দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এমএ/