শুক্রবার (৩ আগস্ট) বাংলানিউজের স্টাফ, ডিস্ট্রিক্ট ও উপজেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর।
ঢাকা: রাজধানীর সায়েদাবাদে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
রাজশাহী: নিরাপত্তহীণতার কারণে রাজশাহীর আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহণ শ্রমিক ও মালিকরা। সকাল থেকে রাজশাহী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে সন্ধ্যা থেকে বাস চলবে বলে জানান রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর রহমান পিটার।
খুলনা: খুলনা থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন।
ময়মনসিংহ: যানবাহনের নিরাপত্তাজনিত কারণে ময়মনসিংহে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতি। তবে সন্ধ্যার পর বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতির বাস বিভাগের সম্পাদক বিকাশ সরকার।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো। শুক্রবার সকাল থেকে জেলার সব রুটে যানবাহন চালানো বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব যানবাহনও।
সুনামগঞ্জ: সিলেট বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। ঢাকার পরিবহন মালিকদের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
ঝালকাঠি: বাস টার্মিনাল বন্ধে প্রশাসনের নির্দেশের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো
ঝালকাঠি জেলা সড়ক বিভাগ হয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাটসহ আটটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফেনী: ফেনী থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়ছে না। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস মালিকদের এমন সিদ্ধান্তের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। ঝিনাইদহে চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাস চলাচলে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে এ ধর্মঘট চলছে।
মেহেরপুর: কোন ঘোষণা ছাড়াই মেহেরপুর মালিক-সমিতি যৌথভাবে অান্তঃজেলা ও দূরপাল্লার সব রুটে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছ। শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার সব ধরনের পরিবহন বন্ধ করেন তারা।
যশোর: নিরাপত্তার অজুহাতে যশোরের ১৮ রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকরা। শুক্রবার সকাল থেকেই আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার গাড়িগুলোর চলাচল বন্ধ। বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
জয়পুরহাট: সকাল থেকেই জয়পুহাটের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না স্থানীয় বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। জয়পুহাট জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি বাংলানিউজকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়টি মালিক গ্রুপ জানে না। আর আমরা এ ধর্মঘট ডাকিনি। সম্ভবত গাড়ির ফিটনেস, চালক-হেলপারদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে তারা বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন।
হবিগঞ্জ: বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার অজুহাতে হবিগঞ্জ জেলায় চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলছে। সকাল থেকে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ডাকে এ ধর্মঘট করা হচ্ছে। এতে অভ্যন্তরীণ রোডসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে।
কুড়িগ্রাম: সড়কে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কুড়িগ্রামে সব দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাসসহ সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মোটর মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। সকাল থেকেই আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস চলাচল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা।
মাদারীপুর: দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ রয়েছে মাদারীপুর থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল। এছাড়া আঞ্চলিক রুটেও সকাল থেকে পরিবহন চলাচল করেনি। এদিকে মাদারীপুর-শরিয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেছে পরিবহন শ্রমিকেরা।
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। সকালে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর, কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া-পাবনা সড়কে জেলা ও আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস চলাচল করলেও দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তাও বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: চলমান আন্দোলনকে ঘিরে ও নিরাপত্তার স্বার্থে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থেকে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দূরপাল্লার কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
নাটোর: নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে সারাদেশের সঙ্গে একাত্মতা ষোষণা করে নাটোরেও বাস, ট্রাকসহ সকল যানবাহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন মালিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।
টাঙ্গাইল: শিক্ষার্থীদের দ্বারা বাস, ট্রাক ভাঙচুর ও শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক ও শ্রমিকরা। সকাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে, কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৮
এনটি