রোববার (৫ আগস্ট) নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপরীতে শ্রমিকরা নগরের প্রবেশদ্বারগুলো বন্ধ করে লাঠিহাতে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন। পুলিশের উপস্থিতির পরও গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছেন তারা।
এদিকে শনিবারও (৪ আগস্ট) একইভাবে রাস্তায় গাড়ি আটকাতে দেখা যায় শ্রমিকদের। অ্যাম্বুলেন্স-বিদেশগামী যাত্রী কাউকে ছাড়েননি শ্রমিকরা।
সিলেট শহরের কয়েকটি স্থানে গাড়ি চলাচলে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের ওপর চড়াও হন শ্রমিকরা। এসময় কয়েকজন যাত্রীকে তারা মারধরও করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল না করায় রোববারও দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রীদের। তাদের অনেকে যাত্রীবাহী বাসের অপেক্ষা না করে ট্রেনেই ভরসা করে ছুটছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
এদিকে, রোববার দুপুরে ফের নগরের চৌহাট্টায় অবস্থায় নেয় ছাত্ররা। এসময় পাশেই চৌহাট্টা-রিকাবিবাজার সড়কে হাতে লাঠি নিয়ে গাড়ি আটকাতে দেখা যায় মাইক্রোবাস শ্রমিকদের। শ্রমিক ও ছাত্ররা যাতে সংঘাতে না জড়ায় এ জন্য চৌহাট্টায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। পরে পুলিশের ২০ মিনিটের আল্টিমেটামে স্থান ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, নগরে যানবাহন চলাচল না করায় রিকশা চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ, তিনগুণ ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেন অনেকে।
এ ব্যাপারে সিলেট পরিবহন মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, যাত্রী, চালক ও গাড়ির নিরাপত্তার জন্য পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কোথাও হালকা যানচলাচলে বাধা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
অ্যাম্বুলেন্স-বিদেশগামী যাত্রী কাউকে ছাড়েনি শ্রমিকরা
সিলেটে লাঠি হাতে যানবাহন চলাচল আটকাচ্ছে শ্রমিকরা
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৮
এনইউ/এনএইচটি