এ মামলার এজাহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি মিলনকে শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আরমানিটোলার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১২।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার রুহুল আমিন বলেন, শনিবার রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে মিলনকে আটক করা হয়।
এর আগে মামলার এক নম্বর আসামি নদীর সাবেক শ্বশুর ইড্রাল ফার্মাসিটিক্যাল ও শিমলা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাতে পাবনা পৌরসভার রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে ভাড়া বাসার সামনে কয়েকজন দুর্বৃত্ত নদীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় বুধবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে পাবনা সদর থানায় মামলা করেন নদীর মা মর্জিনা বেগম। এতে ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানি) ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন, তার ছেলে ও নদীর সাবেক স্বামী রাজীব হোসেন এবং তাদের অফিস সহকারী শামসুজ্জামানের নাম উল্লেখ করে আট-নয়জনকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের সব বিভাগ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ মামলার তদন্ত ভার রয়েছে পাবনা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে। তাদের কাছে আসামিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে মামলা তদন্তের স্বার্থে আর কিছু জানাতে পারছি না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) অরবিন্দ সরকার জানান, রোববার আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এসআই