তিনি বলেছেন, তিন দফা চুক্তি এবং আশ্বাস দিলেও মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে তেমন উদ্যোগী হচ্ছে না। কিন্তু বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য হলো- আমরা রোহিঙ্গ ইস্যুতে বিশ্বজনমত সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা একথা বলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চীন, রাশিয়া ও ভারতও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেছে মিয়ানমারের উচিত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া। চীন ও ভারত রোহিঙ্গাদের জন্য ঘর-বাড়ি নির্মাণেও সাহায্য দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক আদালতও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের রাখার জন্য ঘর-বাড়ি নির্মাণ করছি। বিমসটেক সম্মেলনের সময় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার সময়ও তিনি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই মিয়ানমার তাদের নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ