লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে নির্ধারিত তিনটি ফেরি কৃষাণী, কনকচাঁপা ও কলমিলতা। এর মধ্যে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে কলমিলতা ফেরিটি বিকল হয়ে আছে।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ফেরি কৃষাণী চারটি ট্রাক, একটি মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও পিকআপ-মাইক্রোবাসসহ ৩৪টি যানবাহন নিয়ে ভোলা উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। তখনো ঘাটে ১২০টি যানবাহন পারের অপেক্ষায় লাইনে রয়েছে। বিকেল ৪টায় ভোলা থেকে ফেরি কনকচাঁপা ফিরলে লক্ষ্মীপুরের ঘাটে লাইনে থাকা ট্রাক উঠবে ওই ফেরিতে। ততোক্ষণে যানবাহনের লাইন আরও দীর্ঘ হবে। এতে বাড়বে আরও ভোগান্তি।
জানা গেছে, গাজীপুর থেকে একটি মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুরের ঘাটে এসে পৌঁছায়। ফেরির অপেক্ষা করতে করতে সকাল ১১টা। ততোক্ষণে মরদেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
ফেরিতে উঠার অপেক্ষায় থাকা ট্রাক চালক মাইন উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে এসে দু’দিন ধরে ভোলা যেতে অপেক্ষা করছি। কিন্তু ফেরি সংকটের কারণে গন্তব্যে যেতে পারছিনা। এতে করে ট্রাকে থাকা কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফেরি কলমিলতা সচল থাকলে এমন দুর্ভোগে পড়তে হতো না। কিন্তু বিকল হয়ে পড়ে থাকা ফেরি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই।
বাসের যাত্রীরা বলেন, নদীর দু’পাড়ে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ফেরি সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে থাকতে হয়। দ্রুত বিকল ফেরিটি মেরামত করলে শান্তি ফিরবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট ফেরিঘাটের প্রান্তিক সহকারী রেজাউল কিরম রাজু বলেন, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে তিনটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হতো। সম্প্রতি যান্ত্রিক ত্রুটিতে ফেরি কলমিলতা বন্ধ রয়েছে। যে কারণে যথা সময়ে যানবাহন পারাপার সম্ভব হচ্ছে না। এতে ঘাটে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এসআর/আরবি