রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আবু সাঈদকে দেশে নিয়ে আসার সত্যতা নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের।
আসামী প্রবাসী আবু সাঈদ ফতুল্লা পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগান এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে আসামী আবু সাঈদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইতে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে রোববার তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। এরপর আইনি কার্যক্রম শুরু হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার ৩ মাস আগে আবু সাঈদ বিয়ে করার জন্য দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে পাশের বাড়ির মোনালিসাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাঈদের পরিবার। কিন্তু মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মোনালিসার পরিবার।
পরে সাঈদ পাশের এলাকার ইভা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। কিন্তু ২ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে একা পেয়ে মোনালিসাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। পরে ঘটনা আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়। আর ঘটনার পর আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে যায়। অগ্রিম রিটার্ন টিকেট থাকায় পালিয়ে যেতে কোনো বেগ পেতে হয়নি।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগান এলাকা নিজ বাড়ি থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মোনালিসা আক্তারের (১২) রোববার উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মোনালিসা আক্তার স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীন বেপারীর মেয়ে। সে হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনার পর মোনালিসার বাবা শাহীন বেপারী জানান, ঘটনার দিন সকালে মোনালিসা ও তার ছোট ভাইকে বাসায় রেখে সকালে স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে নিয়ে তিনি শ্বশুর বাড়ি যান। সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন ফোন করে জানায় অজ্ঞাত এক যুবক তার বাড়িতে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ পর আবার বেরিয়ে যায়। এরপর লোকজন ঘরে প্রবেশ করে মোনালিসাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে। পরে রাত ১০টায় তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এনএইচটি