রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বরিশাল নগরের সদর রোডস্থ অশ্বিন কুমার হলে এ সম্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়।
‘তোমরাই বাংলাদেশের বাতিঘর’-স্লোগানে জয়িতা সন্মাননা দেওয়া অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সময়ে নারীদের জয়জয়কার চলছে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। আজকের জয়যাত্রায় নারীদের অবদান অসামান্য।
তিনি আরো বলেন, নারীরা এখন শিক্ষা, সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভুমিকা পালন করছেন। দক্ষতা ও বিচার দিয়ে নিজেদের সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করছেন। প্রতিকূল পরিবেশের নারীরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করছেন। আজকের নারীরা আগামীর পথ চলায় আরো অগ্রণী ভুমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশারফ হোসেন, বরগুনা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মহানগর কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শূন্য থেকে অর্থনেতিক সাফল্য অর্জনকারী বরিশালের উজিরপুরের দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামের সৈয়দ আজিজুল হকের স্ত্রী মাকসুদা বেগম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার উজিয়ালখান গ্রামের মানিক লাল ভট্টাচার্যের মেয়ে প্রিয়ংবদা ভট্টাচার্য, সফল গৃহ ব্যবস্থাপনায় (জননী) ঝালকাঠির রোনালস রোডের মৃত মৌজে সরদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে সাফল্য অর্জনকারী পটুয়াখালীর সবুজবাগের মো. মজিবুর রহমানের স্ত্রী হাসিনা আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বরগুনার তালতলী উপজেলার নামিশেপাড়া গ্রামের উপজাতি মি. মং চিনথানের স্ত্রী মায়া রাখাইনকে জয়িতা সম্মাননা ক্রেস্ট-সনদ ও নগদ ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়।
নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারীদের জয়িতা সম্মাননা দেওয়ায় আগামীতে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন বলে মনে করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
বিভাগীয় জেলা পর্যায়ে আরো ২৫ জয়িতাকে পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
জেলা পর্যায়ে শিক্ষা বিভাগে ঝালকাঠীর ড. কামরুন্নেছা আজাদ, পটুয়াখালীর সেলিনা আক্তার, বরিশালে আয়না সাহা, বরগুনার আজমিরা ও ভোলার মনি মৃধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
নির্যাতন বিভাগে বরিশালের জায়েদা বেগম, পিরোজপুরের হাসি বেগম, ভোলার আফিয়া খাতুন, বরগুনার নার্গিস আক্তার ও ঝালকাঠির আনোয়ারা বেগমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অর্থনীতি বিভাগে বরগুনার জেসমিন আরা, পটুয়াখালীর লাইজু, ঝালকাঠির সাইফা আলম গাজী, পিরোজপুরের শাম্মি আক্তার ও ভোলার রুমানা জেসমিনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সফল জননী বিভাগে পিরোজপুরের গীতা, ভোলার রওশন আরা বেগম, বরিশালের জাহান আরা মজুমদার, বরগুনার আম্বিয়া খাতুন ও পটুয়াখালীর শাহনাজ পারভীনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিরোজপুরের দিলরুবা মিলন নাহার, ভোলার মমতাজ বেগম, ঝালকাঠির রমা রানী দাস, পটুয়াখালীর কহিনুর ও বরিশালের কহিনুর বেগমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এমএস/আরবি/