এবার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কিছুটা সোচ্চার হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে পাঁচ জেলায় সিভিল সার্জন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যগামী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় বেআইনিভাবে অর্থ আদায় বন্ধে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের পাঁচটি জেলার সিভিল সার্জন অফিসে একযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আসা অভিযোগের ভিত্তিতে মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করে তাৎক্ষণিকভাবে নোয়াখালী, কুমিল্লা, খুলনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া এই পাঁচটি জেলায় অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।
জানা যায়, এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা এসব অফিসে উপস্থিত বিদেশগামী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কোনোভাবেই অনৈতিকভাবে কাউকে অর্থ না দেওয়ার জন্য সবাইকে সচেতন করেন। কর্মরত সিভিল সার্জনরা এসময় দুদক টিমকে আশ্বাস দেন যে, অনৈতিক অর্থ আদায় তৎপরতা বন্ধ করা হবে এবং শ্রমিকদের বিনা হয়রানিতে স্বাস্থ্যগত ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
স্থানীয় জনসাধারণ দুদকের এ উপস্থিতি ও অভিযানকে স্বাগত জানান। এভাবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে আসলে এ দুর্নীতি দূর হবে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রণব ভট্টাচার্য্য জানান, রোববার সবকটি অফিসে শতাধিক বিদেশগামী ব্যক্তি দুর্নীতিমুক্তভাবে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
এ অভিযানের পর দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিভিলসার্জন অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। অনৈতিক অর্থ প্রদান বন্ধে প্রয়োজনে ট্র্যাপ অভিযান চালাবে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
আরএম/এনএইচটি