পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, মরা পদ্মা, গড়াই, আড়িয়ালখাঁ, মধুমতি, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট, কালিগঙ্গা, ধলেশ্বরী, কীর্তিনাশা, করতোয়া, বাঙ্গালী, ডাকাতিয়া, মহানন্দা ও তুলশি গঙ্গা নদী এবং গাইবান্ধার কাতলার বীল ও নুরল্লার বীলের তীরে এ ভাঙন হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কোনো কোনো এলাকায় ইতিমধ্যে ভাঙন মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। অনেক এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আবার কিছু এলাকায় কাজের প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে, বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শরিয়তপুর জেলায় নড়িয়াম জাজিরাসহ ৬টি পয়েন্টে ৬.৮ কিলোমিটার ভাঙন হয়েছে। এর মধ্যে চারটি পয়েন্টের ভাঙন ছিল ভয়াবহ। রাজবাড়ি জেলায় ১১টি পয়েন্টে ৩১.১৮ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি পয়েন্টে ভাঙন ছিল ভয়াবহ।
কুষ্টিয়া জেলার দুই এলাকায় মোট ভাঙন হয়েছে আধা কিলোমিটার জুড়ে। ফরিদপুর জেলায় পাঁচটি পয়েন্টে ভাঙন হয়েছে সাড়ে ৪ কিলোমিটার জুড়ে। এর মধ্যে তিনটি পয়েন্টে ভাঙন ছিল ভয়াবহ। কুড়িগ্রাম জেলার ৮টি পয়েন্টে মোট ভাঙন হয়েছে ৮.৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এ ৮টি পয়েন্টেই ভয়াবহ ভাঙন হয়েছে। গাইবান্ধা জেলার ৮টি এলাকায় ৩.২ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি এলাকার ভাঙন ছিল ভয়াবহ।
এছাড়া মানিকঞ্জ জেলার ৫টি এলাকায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন এবং টাঙ্গাইল জেলায় ১.৩ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন হয়েছে। সিরাজগঞ্জে ভাঙন হয়েছে ৩১টি স্থানে প্রায় ২৪ কিলোমিটার জুড়ে। পাবনা জেলার দু’টি উপজেলায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার জুড়ে ভয়াবহ ভাঙন হয়েছে। বগুড়া জেলার একটি উপজেলায় ৫টি এলাকায় মোট ভাঙন হয়েছে দেড় কিলোমিটার জুড়ে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৪টি স্থানে ১৪ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি স্থানের ভাঙন ছিল ভয়াবহ। আর দু’টি স্থানে এখনো ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জ, জয়পুরহাট, জামালপুরম রংপুর, পটুয়াখালী ও চাঁদপুর জেলায় একাধিক স্থানে নদী ভাঙন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এজেড/এসএইচ