সফরসূচি অনুযায়ী এই দিন বহুল প্রতীক্ষিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১০ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন রাষ্ট্রপতি।
সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি তার স্মৃতিবিজড়িত ‘পদ্মাপাড়ে’ খানিকটা সময় কাটাবেন।
‘পদ্মাপাড় ও কারাভ্যন্তরে’ তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এবারও তিনি ওই এলাকায় যেতে পারেন। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে পদ্মার টি- গ্রোয়েন এলাকা ও কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডটি পরিদর্শনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যেন রাষ্ট্রপতি ইচ্ছাপোষণ করলেই ওই এলাকাগুলো পরিদর্শন করতে পারেন। এ কারণে ওই এলাকাগুলো নবরূপে সাজিয়ে তোলার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে শহরের টি-বাঁধের গেটের সামনেই গাড়ি ওঠানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ সড়ক।
পদ্মায় ভ্রমণে যাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে সিঁড়ি। আর রাষ্ট্রপতি যে স্থানটি দিয়ে নৌযানে উঠবেন, সেখানে জিও ব্যাগ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে একটি অস্থায়ী ঘাট। টি-বাঁধের ওপরে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ছাউনি। পাশেই তৈরি হয়েছে অস্থায়ী শৌচাগারও।
এছাড়া ওই এলাকার প্রতিটি গাছের গোড়া ইট দিয়ে বাঁধাই করে রঙ করে বিশেষভাবে সৌন্দর্য বর্ধন করা হচ্ছে। তবে নিরাপত্তার কারণে এরই মধ্যে সেখানে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শহর রক্ষা বাঁধের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। টি-বাঁধের সবুজ সৌন্দর্যকে আরও বিমোহিত করতে জোরেশোরে কাজ চলছে। তবে সব প্রস্তুতিই এখন প্রায় শেষের দিকে। রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আগামী শনিবার ঠিক কখন রাষ্ট্রপতি টি-বাঁধে যাবেন তা নির্দিষ্ট করে তিনি বেঁধে দেননি। তবে তিনি সেখানে যাওয়ার সম্মতি দিয়েছেন। তাই রাষ্ট্রপতির ভ্রমণের জন্য তারা সব প্রস্তুতি শেষ করে রাখছেন।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। আজকের মধ্যে বেশিরভাগ কাজ শেষ হবে। পাউবো ছাড়াও সরকারি দু’টি সংস্থা সাজসজ্জার কাজ করছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রপতির বসার জন্য ছাউনি তৈরি করছে গণপূর্ত অধিদফতর। আর গতবার রাজশাহী সফরের সময় সেখানে শৌচাগার তৈরি করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এসএস/এএটি