ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সাত তাঁতপণ্য নিয়ে ‘হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
সাত তাঁতপণ্য নিয়ে ‘হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল’ এসএমই ফাউন্ডেশন ও এএফডিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অংশ হিসেবে দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী তাঁতপণ্যের ব্যবহার। আর এ ধরনের সাতটি পণ্যের প্রদর্শন, প্রচার, প্রসার, ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টি ও বিলুপ্তি রোধের লক্ষ্যে শুরু হতে যাচ্ছে 'হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৮'। 

তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আগামী ৪ অক্টোবর গুলশানের 'খাজানা গার্ডেনিয়া গ্র্যান্ড হলে' অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার অফ বাংলাদেশের (এএফডিবি) যৌথ আয়োজনে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।  

বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গুলশানের খাজানা রেস্টুরেন্টে এসএমই ফাউন্ডেশন ও এএফডিবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, 'হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৮'তে যে সাত ধরনের পণ্য থাকবে তা হলো- জামদানি, নকশিকাঁথা, বেনারসি, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও রাঙ্গামাটির তাঁত। উদ্বোধনের দিন দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। এছাড়া বাকি দুইদিন চলবে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে সর্বমোট ৩৫টি স্টল থাকবে। দেশের খ্যাতনামা ডিজাইনারদের তৈরি পণ্য প্রদর্শনীসহ এই সাত ধরনের পণ্যের বুনন প্রক্রিয়া প্রদর্শনের ব্যবস্থা ও ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হবে।

বক্তারা আরও বলেন, দেশে তাঁত পণ্যের প্রচার-প্রসার ছাড়াও তাঁতপণ্য প্রস্তুতকারক শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনার ও ক্রেতা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মধ্যে সংযোগ স্থাপনসহ এ পণ্যটির বিলুপ্তি রোধ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।  

ব্যবসায়ীদের দেশ নিয়ে স্বপ্ন থাকা উচিত উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা দেশের বাইরে থেকে কাপড় এনে বিক্রি করছেন। ফলে আমাদের দেশি ও সাংস্কৃতিক পণ্যগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে। আমাদের মনে রাখা উচিত এসব দেশীয় পণ্যগুলো আমাদেরই গৌরবময় সংস্কৃতি।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্র শেখর সাহা, মানতাসা আহমেদ, নওশিন খায়ের, রেনুকা চাকমা, তাহসিনা শাহিন, বিপ্লব সাহা এবং মো. শামীম আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।