বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ফেস্টুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে পর্যটন দিবসের র্যালি বের করা হয়।
র্যালিতে নের্তৃত্ব দেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
র্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে “পর্যটন শিল্পের বিকাশে তথ্য প্রযুক্তি” প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক অমিত চাকমা রাজু’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পরিষদ সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার হোসেন, হোটেল মালিক সমিতির নেতা নেছার আহমেদ, রোভার স্কাউটস এর সভাপতি নুরুল আবছার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পর্যটন মোটেলের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের বিকাশে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। এ শিল্পকে বিকশিত করার জন্য এ জেলায় রয়েছে বৃহৎ কাপ্তাই হ্রদ, পাহাড়, প্রাকৃতিক সম্পদ ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। যা দেশের অন্য কোনো জেলায় নেই।
তিনি আরো বলেন, অতীতে এ সেক্টরকে যেভাবে অবহেলা করা হয়েছে সেভাবে অবহেলা করলে চলবে না। এ সেক্টরের মাধ্যমে এ জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাড়ানো সম্ভব।
তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী এ বিভাগটি পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত হয়। এর পর থেকে পর্যটন সেক্টরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এ পরিষদের মতো এ সেক্টরের উন্নয়নে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এলে আগামী তিন বছরের মধ্যে এ জেলা বিশ্বের মধ্যে একটি মডেল পর্যটন জেলা হিসেবে পরিচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএ
