বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মিলন উপজেলার মাহমুদাবাদ টঙ্গীরঘাট এলাকার আজগর ফকিরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার দিকে টঙ্গীরঘাট এলাকায় বাড়ি থেকে বন্ধু আব্দুল হাইকে নিয়ে মোটরসাইকেলের তেল কেনার জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রংধনু পাম্পে যান মিলন। তেল কিনে বাড়ি ফেরার সময় একটি বেপরোয়া কাভার্ডভ্যান তার মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মিলন মারা যান এবং আব্দুল হাই আহত হন।
পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে মিলনের স্বজনসহ উত্তেজিত জনতা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে রাস্তায় থেমে থাকা প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি ভাঙচুর করে তারা।
ঘণ্টাব্যাপী অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় দিকে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসহ পথচারীরা।
এ খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এসময় উত্তেজিত জনতা কাভার্ডভ্যান চালক মহিউদ্দিনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
রূপগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সেকান্দর আলী বাংলানিউজকে বলেন, কাভার্ডভ্যানসহ চালককে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
টিএ