একইসঙ্গে নির্যাতনের শিকার দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন করে আবারও তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ইউএনও।
এর আগে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হয় উপজেলার ধারাম গ্রামের বাসিন্দা দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।
মামলা দায়ের করা হলে গ্রামের মাতব্বর আমিরুল ইসলাম সবুজ আসামিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে ‘সমাজচ্যুত’ করেন। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন।
অপহৃত কিশোরীকে ফিরে না পেয়ে মামলা করে তার পরিবার। মামলা দায়েরের পর কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য মনিরের বড়ভাই আপেলকে আটক করে পুলিশ। পরে মনির অপহৃত কিশোরীকে পরিবারের কাছে ফেরত দেয়।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বাংলানিউজে “মামলা করায় ‘একঘরে’ হলো নির্যাতিতার পরিবার! ” এই শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেন ইউএনও। তথাকথিত বিচারক গ্রামের মাতব্বর আমিরুল ইসলাম সবুজ ও ভুক্তভোগী পরিবারকে নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনি।
এসময় ইউএনও ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, ওয়ার্ড মেম্বারসহ অন্যান্যরা।
রাষ্ট্রীয় আইন উপেক্ষা করে গ্রামে আর কখনো এ ধরনের বিচার সালিশ করবেন না এবং ওই কিশোরীর পরিবারেও কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা চালাবেন না মর্মে সবার সামনে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান মাতব্বর সবুজ।
ইউএনও’র কার্যকরী পদক্ষেপে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তারা।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, চলাফেরার ক্ষেত্রে কিশোরীর পরিবারে যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য তারা সহায়তা করবেন। আর মামলা মামলার গতিতে চলবে, কেউ মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না।
** মামলা করায় ‘একঘরে’ হলো নির্যাতিতার পরিবার!
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএ